চাঁপাইনবাবগঞ্জের
স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গ্রীন ভিউ উচ্চ বিদ্যালয়। চার দশক ধরে
জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে বিদ্যালয়টি। শিক্ষা বিস্তারের স্বপ্ন নিয়ে ১৯৮২ সালে
যাত্রা শুরু করা বিদ্যালয়টি এখন শিক্ষা গ্রহণের আদর্শ প্রতিষ্ঠান।
সুশিক্ষার বাতিঘর হিসেবে সবার আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২০০১ সালে প্রতিষ্ঠানটি প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিকে উন্নীত করা হয়।
পরিপাটি সবুজ ক্যাম্পাস। পড়ালেখা, আড্ডা, গল্প আর গান সবকিছু চলছে একসঙ্গে। নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও স্বমহিমায় এগিয়ে চলেছে এই শিক্ষায়তন। ২০১৯ সালে জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয় গ্রীন ভিউ উচ্চ বিদ্যালয়। পেয়েছে স্বীকৃতিও। একবিংশ শতাব্দীর প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেকে ডিজিটাল করে নিয়েছে গ্রীন ভিউ উচ্চ বিদ্যালয়। বর্তমানে প্রায় সাড়ে ১৩শ’ শিক্ষার্থীর পদচারণে মুখর বিদ্যালয়টির ক্যাম্পাস।
গ্রীন ভিউ উচ্চ বিদ্যালয় সুশিক্ষার চমৎকার গন্তব্য। এখানকার শিক্ষাব্যবস্থা বেশ উন্নত ও আধুনিক। এখানে সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা নেই। অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী ও প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে বিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করেছে, আর মানসিক প্রশান্তি দিয়েছে অভিভাবকদের।
শহরের প্রাণকেন্দ্রে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আম্রকাননের মধ্যে বিদ্যালয়টির অবস্থান। আম বাগানের মধ্যে গড়ে ওঠা ভবনের রং সবুজ। চারদিকে যেন সবুজের সমারোহ। এমনই এক অপার সৌন্দর্যের মনোমুগ্ধকর পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে গ্রীন ভিউ উচ্চ বিদ্যালয়। শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ থাকায় এ বিদ্যালয়ের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে শিক্ষার্থীরা। প্রতি বছর সবুজে ঘেরা এ ক্যাম্পাসে ভর্তি হচ্ছে শত শত শিক্ষার্থী।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সুপরিচিত নাম গ্রীন ভিউ উচ্চ বিদ্যালয়। বর্তমানে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যোগ্যতার প্রমাণ দিচ্ছে। একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি সংস্কৃতি, ক্রীড়া, মানবিক গুণাবলি ও উন্নত মানসিকতা সৃষ্টির বিকাশে বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ যতœশীল। মেধাবী ছাত্রছাত্রী আর অভিজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকা ও জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে জ্ঞান অর্জনের এক আদর্শ বিদ্যাপীঠে পরিণত হয়েছে এ বিদ্যালয়।
২০২০ সালে ১২৭ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। শতভাগ উত্তীর্ণ হওয়াসহ ৪৮ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। জিপিএ-৪ পেয়েছে ৬৫ জন। এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজ যোগ্যতায় যে কোনো কলেজে প্রত্যাশিত আসন দখল করতে সক্ষম। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে প্রাথমিকে ৫৭৪ এবং মাধ্যমিকে ৭৮৭ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত।